দালাল ছাড়া নিজে নিজে জমির পর্চা/খতিয়ান তুলুন নেই কোনো ঝামেলা

 প্রিয় পাঠক,

সালাম এবং শুভেচ্ছা নিবেন। আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের জানাবো কত সহজে কারোর সাহায্য ছাড়া কিভাবে জমির খতিয়াত/পর্চা তুলতে পারবেন। খরচ সাধারন আবেদনে ৮ টাকা, জরুরী আবেদনে ১৬ টাকা। 

 মনে রাখবেন জমির খতিয়ান বা পর্চা তুলতে কারোর সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। কারোর সাহায্য মানে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে নিজে নিজে এই কাজটি করবেন। এই কাজটি করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে হবে। ওয়েবসাইট টি হলো- www.khulna.gov.bd অথবা এখানে ক্লিক করুন

 এরপর আপনি জেলা প্রশাসক খুলনা এর একটি ওয়েব সাইট দেখতে পারবনে। নিচের ছবির মত করে।

 

 এই সাইটটি ভিউ হবার পর আপনাকে এখানে থেকে নকলের জন্য আবেদন লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে অথবা এখানে ক্লিক করুন

নিচের ছবিতে দেখুন।

এরপর আপনার সামনে একটি অনলাইন ফরম দেখতে পারবেন। ফরমটি সঠিক ভাবে পুরণ করে দাখিল লেখাতে ক্লিক করেল আপনার আবেদনটি দাখিল হয়ে যাবে। এটি প্রিন্ট করে জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে কোট ফি সংযুক্ত করে জমা দিলে আপনাকে একটি টোকেন দিবে। টোকেনটি নিয়ে নির্দিষ্ট্য সময় পর জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে গেলে আপনার খতিয়ানটি পেয়ে যাবেন। চলুন আবেদন ফরমটি দেখি এবং পুরণ করতে কি কি লাগে জানি।


 ১। নামঃ এই ঘরে আপনার নাম লিখতে হবে।

২। বর্তমান ঠিকানা- এই ঘরে আপনার ঠিকানাটা সঠিক ভাবে লিখতে হবে । কারণ ডাকযোগে পর্চা পাওয়ার অপশন আছে।

৪। মোবাইল নং- এই ঘরে আপনাকে সঠিক একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। আবেদন করার সাথে সাথে আপনি একিট ট্রাকিং নাম্বার সহ sms পাবেন।

৫। নকলের ধরণ- আপনি কি ধরণের খতিয়ান বা পর্চা তুলবেন তার ধরন আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। 

৬। জাতীয় আইডি - আপনার NID এর নাম্বার লিখতে হবে না দিলেও সমস্যা নেই।

৭। ইমেল- এখানে আপনাকে ইমেইল লিখতে হবে না দিলেও সমস্যা নেই।

৮। টেলিফোন নং- এখানে আপনাকে টেলিফোন নং লিখতে হবে না দিলেও সমস্যা নেই।

 ৯। ডেলিভারীর প্রয়োজন- এখানে দুটি অপশন আছে একটি সাধারণ আর একটি জরুরী  

১০। উপজেলা - আপনি যে উপজেলার খতিয়ান তুলতে চান সেই উপজেলার নাম লিখবেন। ( বিঃদ্রঃ এটি খুলনা জেলার সকল উপজেলার জন্য)

১১। মৌজা- এরপর আপনাকে মৌজা বাছাই করুন ঘরে ক্লিক করে আপনি যে মৌজার খতিয়ান তুলতে চান তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি সঠিক ভাবে উপজেলা  সিলেক্ট না করেন তাহলে মৌজা খুজে পাবেন না।

১২। জে এল নং-মৌজা সিলেক্ট করলে এটি এমনিতে চলে আসবে।

১৩। খতিয়ান নং- আপনাকে এই ঘরে সঠিক খতিয়ান নাম্বার লিখতে হবে। ভুল লিখে সাবমিট দিলে সংশোধন করার কোনো সুযোগ নাই।

১৪। নকলটি কিভাবে পেতে চান- এখানে দুটি অপশন আছে একটি জেলা সেবা কেন্দ্র হতে অন্যটি ডাকযোগে । বেশির ভাগ পর্চা জেলা ই সেবা কেন্দ্র হতে বিতরণ হয় তাই আপনিও জেলা সেবা কেন্দ্র হতে নিলে ভালো হয়।

১৫। দাখিল করুন বাটনে ক্লিক করলে আপনার আবেদনটি জমা হয়ে যাবে এবং আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল দিবে একটি প্রিন্ট করে কোর্ট ফি সংযুক্ত করে জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।

 

এছাড়াও আরো একটি সহজ উপায় আছে। আপনি সরাসরি খুলনা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে, জেলা ই-সেবা কেন্দ্র্রে যে একটি আবেদন ফরম পুরণ করে জমা দিয়ে আবেদন করতে পাবেন। কোনো ঝামেলা ছাড়া।

আমার পোষ্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন । আর কোন বিষয়ে জানতে চান কমেন্টস করে জানাতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.