নামাযের আহকামসমূহ
নামাযের আহকাম
মোট ৭টি
১. শরীর পাক
শরীর পাক তথা নির্দিষ্ট
বিধান অনুযায়ী ওযু দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা। আর যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে, তাহলে গোসল
করা এবং পানি পাওয়া না গেলে তায়াম্মুম করা।
২. কাপর পাক
পোশাক পাক হতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণী-
“তুমি তোমার কাপর পাক কর”- আল কুর’আন, মুদ্দাসসির ৭৪:৪
৩. নামাযের জায়গা
পাক
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সা.-এর হাদীস, একবার এক লোক মসজিদে প্রসাব করলে
রাসূলুল্লাহ সা. তাকে উদ্দেশ করে বলেন,
“নিশ্চয় মসজিদগুলোতে পেশাব-পায়খানা করা কোনোক্রমেই সঙ্গত নয়, বরং এটি হলো
মহান আল্লাহর যিকির, নামায এবং কুর’আন তিলাওয়াতের জায়গা”
সহীহ মুসলিম,হাদীস নং- ২৮৫
৪. সতর ঢাকা
পুরুষের সতর নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত। আর মেয়েদের মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু
চেহারা ও দু-হাতের কবজি ছাড়া সবই সতর।
মহান আল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় তোমাদের
পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ কর”- আল কুর’আন, আ’রাফ, ৭:৩১
৫. ক্বিবলামুখী
হওয়া
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, ভুল নিয়মে সালাত আদায়কারীর ঘটনায় নবী করীম
সা. বলেন: “যখন তুমি সালাতের জন্য দণ্ডায়মান হও, পরিপূর্ণরূপে ওযু কর, অতঃপর কিবলামুখী
হও....” সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ৬২৫১
৬. ওয়াক্ত মতো
নামায পড়া
দিবারাত্র্রের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় নির্ধারিত আছে এবং সময়ের শুরু
আছে এবং শেষও আছে। তাই ওয়াক্ত মতো নামায পড়তে হবে।
ওয়াক্ত মতো নামায পড়ার আদেশ সম্পর্কিত মহান আল্লাহর বাণী,
নিশ্চই সালাত মুমিনদের উপর নিদির্ষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত”
আল কুর’আন, নিসা, ৪:১০৩
৭. নামাযের নিয়্যত
করা
নিয়্যত হল, কোনো
কাজ করার উদ্দেশ্যে দৃঢপ্রত্যয়ী হওয়া। আর এ নিয়্যত মুখে উচ্চারণের বাধ্যবাধকতা নেই।
নিয়্যতের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে হাদীসের বাণী,
“বান্দার সমস্ত
আমল নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল এবং প্রত্যেক মানুষ তার নিয়্যত অনুসারেই তার বিনিময় পাবে”
– বুখারী : ০১

No comments