নফল রোযার মাসায়েল

****** পাঁচদিন ব্যতীত সারা বৎসর যে কোন দিন নফল রোযা রাখা যায়। উক্ত পাঁচ দিনহল দুই ঈদের দুই দিন এবং ঈদুল আযাহার পরের তিন দিন অর্থাৎ ১১ই, ১২ই, ১৩ই যিলহজ্জ। এই পাঁচদিন সে কোন রোযা রাখা হারাম।

****** যে ব্যক্তি প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩ই, ১৪ই ১৫ই তারিখে নফল রোযা রাখল, সে যেন সারা বৎসর রোযা রাখল। এটাকেআইয়্যামে বীযের রোযাবলে।

****** প্রত্যেক সোমবার এবং বৃহস্পতিবারও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নফল রোযা রাখতেন। এতেও অনেক সওয়াব আছে।

****** বেলা দ্বিপ্রহরের এক ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত নফল রোযার নিয়ত করা দুরস্ত আছে।

****** নফল রোযা শুরু করালে সেটা পুরো করা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাই নফল রোযার নিয়ত করার পর সেটা ভাঙ্গলে তার কাযা আদায় করা ওয়াজিব।

****** স্বামী বাড়ীতে থাকা অবস্থায় তার বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর জন্য নফল রোযা দুরস্ত নয়। রাখলে স্বামী হুকুম করলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং পরে কাযা করে নিতে হবে।

****** মেহমান যদি একা খেতে মনে কষ্ট পায় তাহলে তার খাতিরে মেযবান (বাড়িওয়ালা) নফল রোযা ভেঙ্গে ফেলতে পারে। ভাঙ্গলে পরে কাযা করে নিতে হবে। তবে এই ভাঙ্গার অনুমতি সূর্য ঢলার পূর্ব পর্যন্ত।

সূত্রঃ আহকামে যিন্দেগী, (পঞ্চম সংস্করণ), মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন, পৃষ্ঠা-২৫৫-২৫৬।







No comments

Powered by Blogger.