সেহ্রীর মাসায়েল
****
সেহ্রী খাওয়া জরূরী নয় তবে সেহ্রী খাওয়া সুন্নত, অনকে ফযীলতের আমল, তাই ক্ষুদা না
লাগলে বা খেতে ইচ্ছে না করলেও সেহ্রীল ফযীলত হাছিল করার নিয়তে যা-ই হোক কিছু পানাহার
করে নিবে।
****
নিদ্রার কারণে সেহ্রী না পারলেও রোযা রাখতে হবে। সেহ্রী না খেতে পারায় রোযা না রাখা
অত্যন্ত পাপ।
****
সেহ্রী-র সময় আছে বা নেই নিয়ে সন্দেহ হলে সেহ্রী না খাওয়া উচিত। এরুপ সময়ে খেলে রোযা
কাযা করা ভাল। আর যদি পরে নিশ্চিত ভাবে জানা যায় যে তখন সেহ্রীর সময় ছিল না, তাহলে
কাযা করা ওয়াজিব।
****
সেহ্রীর সময় আছে মনে করে পানাহার করল অথচ পরে জানা গেল যে, তখন সেহ্রীর সময় ছিল না,
তাহলে রোযা হবে না; তবে সারাদিন তাকে রোযাদারের ন্যায় থাকতে হবে এবং রমযানের পর ঐ দিনের
রোযা কাযা করতে হবে।
****
বিলম্ব সেহ্রী খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হলে গেলেও শেষ সময় নাগাদ কিছু চা-পানি ইত্যাদি পান
করতে থাকলেও বিলম্বে সেহ্রী করার ফযীলত অর্জিত হবে।
সূত্রঃ আহকামে যিন্দেগী, (পঞ্চম সংস্করণ), মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন, পৃষ্ঠা-২৪৭
No comments